এবার ধর্ষণের দায়ে প্রায় দেড় বছর ধরে বিচার কার্যক্রম চলার পর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের রায় ঘোষণা করেছেন স্পেনের একটি আদালত। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকাকে আজ (বৃহস্পতিবার) সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে আলভেজকে। এদিকে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে।
ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হলো। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন— রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি সেকশনের টয়লেটে যেতে ওই তরুণীকে প্রলুব্ধ করেন আলভেজ। যদিও তার দাবি— তিনি ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, তুমি চাইলে চলে যেতে পারো। তবে যাইহোক ওই ঘটনায় তরুণী সম্মতি দেননি বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত।
এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছেন, ‘শারীরিক সম্পর্কের ঘটনায় ভুক্তভোগীর কোনো সম্মতি ছিল না বলে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন।’
এদিকে শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করা আলভেজ শুরু থেকে যা ঘটেছিল তা দুজনের সম্মতিতে হয় বলে জানিয়ে আসছেন। সাবেক এই বার্সা ডিফেন্ডার প্রথম গ্রেপ্তার হন গত বছরের ২০ জানুয়ারি। এরপর থেকেই চলে আসছিল বিচার কার্যক্রম। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো যাকে বলছিল, দেশটির ইতিহাসের অন্যতম হাই–প্রোফাইল মামলা হিসেবে।
বিচারের শেষদিকে প্রসিকিউটররা আলভেজের নয় বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছিলেন। শেষমেষ আদালত সাড়ে চার বছরের সঙ্গে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও যোগ করে দিয়েছেন। এর আগে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর ছুটিতে স্পেনের বার্সেলোনাতেই ওই তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতায় জড়িয়ে পড়েন আলভেজ।
পরবর্তীতে সেই ভুক্তভোগী আলভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলারও অভিযোগ আনেন। যার প্রেক্ষিতে আলভেজও জানান– দুজনের দেখা হয় টয়লেটে। তবে সেখানে কিছুই ঘটেনি। পরবর্তীতে অবশ্য সেই মত পাল্টে ৪০ বছর বয়সী এই তারকা জানান, ‘আমরা উভয়েই নিজেদের মতো করে সময়টা উপভোগ করেছি!’